ভূমি সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে প্রতিটি উপজেলাকে কতগুলো গ্রাম সদৃশ এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। এরূপ এক-একটি ভাগকে এক-একটি মৌজা বলা হয়। একটি মৌজা কত একর জায়গা নিয়ে হবে তার কোন নির্দিষ্ট মানদন্ড নেই। সাধারণত ২০০ একরের বেশি জায়গা নিয়ে এক-একটি মৌজা গঠিত হয়ে থাকে।
প্রতিটি মৌজার জমিগুলোকে কতগুলো দাগে ভাগ করা হয়ে থাকে এবং দাগগুলোকে ১ থেকে ক্রমান্বয়ে সংখ্যায়িত করা হয়। এক একটি দাগে যেমন একাধিক মালিকের অংশ থাকতে পারে তেমনি আবার একজন মালিকের একাধিক দাগে জমি থাকতে পারে। প্রতিটি মৌজার দাগগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট স্কেলে যে দ্বিমাত্রিক নকশা বা ড্রয়িং করা হয় তাকে মৌজা-ম্যাপ বলে। মৌজা বড় হলে একটি মৌজার ম্যাপকে একাধিক ভাগে ভাগ করে একাধিক শীটে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।
দুই ধরনের মৌজা-ম্যাপ নড়াইলে পাওয়া যায়ঃ
১। সি.এস. বা এস.এ. মৌজা-ম্যাপ
২। আর.এস বা হাল মৌজা ম্যাপ
রেকর্ডরুম হতে মৌজা-ম্যাপ বিক্রি করা হয়। তবে আপনি যে ম্যাপটি চাচ্ছেন সেটির মজুদ আছে কীনা সেটা আগে জেনে নিতে হবে। মজুদ যেমন সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে আবার তেমনি অনেক মৌজার আর এস ম্যাপ এখনো প্রকাশ হয়ে আসেনি।
আর এস প্রকাশিত হয়নি এরূপ মৌজার তালিকাঃ এখানে
মজুদ-নেই এরূপ মৌজ-ম্যাপের তালিকাঃ তৈরির কাজ চলছে।
এব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য পেতে এ কার্যালয়ের রেকর্ডরুমের 'আরকে' বা 'রেকর্ড কীপার' এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
রেকর্ড রুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনার চাহিত মৌজা-ম্যাপের পর্যাপ্ত মজুদ আছে জানার পর নিম্নোক্তভাবে আবেদন করুনঃ
রেকর্ড-রুমে মৌজা-ম্যাপের মজুদ না থাকলে কী করবেন...
আপনার যে মৌজা-ম্যাপটি চাচ্ছেন তার মজুদ এ কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে যদি মজুদ না থাকে তবে আপনি দুটি কাজ করতে পারেন। এক, ম্যাপ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তবে ম্যাপ কবে আসবে বা আদৌ আসবে কীনা এটা অনিশ্চিত। দুই, ঢাকায় অবস্থিত ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস